
প্রকাশিত: ৮ জুলাই, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গত কয়েক দিনে অতি বৃষ্টি সবজি ক্ষেতের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভাল দাম পাবার আশায় কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির পানি সবজি ক্ষেতে সবজি গাছ মরে গেছে। চা বাগানের উঁচু টিলায় কৃষকরা বর্ষাকালীন উচ্চ ফলনশীল টমোটো চাষ করেছিলেন। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে টমোটো চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষকরা ধারদেনা করে বাণিজিক ভাবে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে এখন হতাশ হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কৃষকদের কোন আশ্বাস বা কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। মাধবপুর উপজেলার মধ্যে কৃষকরা ধর্মঘর, চৌমুহনী ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে কৃষি চাষাবাদ করে থাকেন। অতি বৃষ্টিতে এসব এলাকার সবজি খেত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, মাধবপুর ১১ টি ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ১শ একর জুড়ে কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেন। এসব সবজির মধ্যে আগাম জাতের টমোটো, বরবটি, ধুন্দুল, পেঁপে, বেগুন চালকুমড়া, লাউ জাতের সবজি ছিল। তবে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষনে সবজি আবাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উজানের ঢলে জমিতে পানি জমে সবজি খেত মরে গেছে।
শাহজাহানপুর ইউনিয়নের কৃষক সের আলী ও কালা মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, শাহজাহানপুর ইউনিয়নে সুরমা চা বাগানে উঁচু টিলায় প্রায় ২শ বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমোটো চাষ করা হয়েছিল কিন্তু বৃষ্টির ঢলে টমোটো গাছ মাটিসহ সরে গেছে। গোড়া থেকে মাটি সরে যাবার কারনে টমোটা গাছ মরে গেছে। এছাড়া চাল কুমড়া, লাউসহ অন্যান্য সবজি খেতে পানি জমে সবজি গাছ মরে গেছে। এবারের মত এমন নষ্ট আগে আর হয়নি।
চৌমুহনী ইউনিয়নের কৃষক বধু মিয়া জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে সবজি খেতে পানি আটক হয়ে তার ৫ বিঘা সবজি বিনষ্ট হয়েছে। ধর্মঘর ইউনিয়নে কৃষক আমির আলী জানান, ধর্মঘর ইউনিয়নে শতাধিক কৃষক তাাদের উঁচ নিচু ভূমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি কারনে সব কৃষক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। উপজেলার নয়াহাটি সবজির আড়ৎদার জয় কুমার দেব জানান স্থানীয় সবজি চাষীরা বৃষ্টির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বাজারে সবজি সরবরাহ অনেক কমে গেছে । এ কারনে এখন ৫০ টাকা কেজি নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সবজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ভোক্তাদের উচ্চ মূলে সবজি কিনতে হচ্ছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার জানান,অতি বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে সবজি খেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের তালিকা করে তাদের প্রণোদনা দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর কাজ চলছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবার বিভিন্ন জাতের মৌসুমী সবজি চাষাবাদ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন