বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় সরকারি হাসপাতালে রহস্যজনক চুরি, গ্রেপ্তার ১

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিজরুল সরকারি হাসপাতালে রাতে জরুরি বিভাগে ছিলেন চিকিৎসকসহ কয়েকজন স্টাফ। গেটে বসে ছিলেন একজন নিরাপত্তাকর্মী আর দুটি ওয়ার্ডে ছিল রোগী। পাশেই প্রশাসনিক বিভাগের দুটি কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটলেও শব্দ পায়নি কেউ। রহস্যজনক এই চুরির ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত সোমবার নাজিম উদ্দিন (২৮) নামের সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল পাকুরিয়াপাড়া এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (বিজরুল) প্রশাসনিক বিভাগের ১০২ ও ১০৩নং কক্ষের ল্যাপটপ, লিনোভা ট্যাব ও স্টিলের আলমারীর ড্রয়ার ভেঙে নগদ ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের দুটি কক্ষ তালাবদ্ধ করে কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা চলে যান। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রাত ৯টা পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক দেখেছেন।

সন্ধ্যা থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন নাইটগার্ড সাইফুল ইসলাম। পরদিন রোববার সকালে হাসপাতালের মালি রেজাউল করিম প্রশাসনিক বিভাগের একটি কক্ষের তালা খুলে ভিতরে ঢুকে অফিসের ডকুমেন্টস ও আসবাবপত্র এলোমেলো এবং জানালার গ্রিল কাটা দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্টাফদের জানায়। অফিসের ১০২ ও ১০৩নং কক্ষের পেছন দিকের দুই জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। একটি কক্ষের স্টিলের আলমারীর সকল ড্রয়ার ভাঙা, লকারে থাকা নগদ ৩২ হাজার টাকা, স্টোরে থাকা সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ১টি নতুন ওয়ালটন ল্যাপটপ ও ৩টি
নতুন লিনোভা ট্যাব পাওয়া যায়নি। আরেকটি কক্ষের স্টিলের আলমারীর সকল ড্রয়ার ভাঙা এবং লকারে থাকা নগদ ৯৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

ঘটনার রাতে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোতির্ময় কবিরাজ জানান, হাসপাতালে রোগী এলে চিকিৎসা দিয়ে আবার নির্ধারিত কক্ষে চলে যাই। আমি গ্রিল কাটার শব্দ পাইনি। রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাইফুল ইসলামও গ্রিল কাটার শব্দ পাননি বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, ঘটনার রাতেহাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকসহ ৬জন স্টাফ ছিলেন। প্রশাসনিক বিভাগ পৃথকভাবে তালাবদ্ধ ও সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। পেছনের দিকে দুটি জানালার গ্রিল কেটে চুরি করে দূর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মী ও দ্বিতীয় তলায় রোগী ছিল। কেউই জানালার গ্রিল কাটার শব্দ পাননি। ঘটনার পরদিন রোববার রাতে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করেননি।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চুরির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাজিম উদ্দিন নামের সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পূর্বের একটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন