রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৪৩ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

প্রশ্নফাঁস; ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুদকে পিএসসির চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পিএসসির প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত চিঠি দুদক সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলা হয়েছে তারা হলেন পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, পিএসসির ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্ম কমিশনের পাঁচজনসহ অন্যান্যকে আসামি করে পল্টন থানার মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।

এতে বলা হয়, তা ছাড়া তাদের নিজ নামে ও তাদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা দায়ের করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য প্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে পিএসসি।

উল্লেখ্য, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত সোমবার দিনভর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবেদ আলীসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ওইদিন রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় আজ ১৭ আসামিকে আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতেন চান। পরে মামলার তদন্ততারী কর্মকর্তা, সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তার আগে আদালতের নির্দেশে বাকি ১০ আসামিকেও কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন