রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

১১ দিন ধরে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত

১১দিন ধরে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ রেখে  আন্দোলন করছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা। বন্ধ রাখা হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমও।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে দাবি আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকেরা। সেখানে আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আগের মতোই বন্ধ থাকবে ক্লাস–পরীক্ষা। এদিকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে সেশনজটে পড়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ মার্চ রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয় স্কিম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এ ঘোষণা আসার পর থেকে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

১ জুলাই প্রায় চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য চালু হয় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম। নানা কর্মসূচির পর সেদিন থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে চলে যান শিক্ষকেরা।

শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে।

শিক্ষকেরা বলছেন, নতুন পেনশন স্কিমের কারণে জুলাই থেকে যোগ দেওয়া শিক্ষকেরা অবসরের পর এককালীন টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। কর্মবিরতি ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কা নেই জানিয়ে তাঁরা জানান, দাবি আদায় হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরাই কর্মবিরতি পালন করছেন।

আন্দোলনের শুরুর দিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবিগুলো হলো প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের যে সুপার গ্রেডটি ২০১৫ সালে আমাদের দেওয়ার কথা ছিল, সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি দিতে হবে আর আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি। যদিন প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে স্বতন্ত্র বেতন স্কিম করা হয় তাহলে তো দুটো মিলে এক জায়গায় চলে আসলো।’

মন্তব্য করুন