বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

হাতিরঝিলের নৌপথ বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রাজউকের

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যাত্রীদের চাহিদা এবং বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে হাতিরঝিলের নৌপথ বিস্তৃত করার পরিকল্পনা নিয়েছে । এরই মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই প্রকল্পের কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চাপ কমবে বলে আশা করছে রাজউকের।

রাজধানীর হাতিরঝিলে ২০১৬ সালে বোট সার্ভিস চালু হওয়ার পরই তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, এখানে ১৫টি নৌকায় প্রতিদিন পারাপার করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী।

যাত্রীরা বলছেন, ব্যস্ত রাজধানীতে অনেক সময় বিকেলে পরিবার নিয়ে হাতিরঝিলে আসেন অনেকে। এ ছাড়া স্কুল-অফিস যাত্রীরা নিয়মিত এ পথে যাতায়াত করে। চাহিদা বিবেচনায় বোট বাড়িয়ে নিয়মিত চলাচলের দাবি জানিয়েছে তারা। 

বর্তমানে হাতিরঝিলের এফডিসির মোড়, পুলিশ প্লাজা, রামপুরা ও গুদারাঘাটের মধ্যে চলাচল করে এই বোট। সামনে তা কালাচাঁদপুর, বনানী কবরস্থান ও চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজউক।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ‘আমাদের যে বোট সার্ভিস আছে, সেটাকে বাড়িয়ে কালাচাঁদপুর এবং বনানী কবরস্থান পর্যন্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’ 

বোট সার্ভিস বাড়াতে সংযোগ সড়কগুলোর কালভার্ট ও সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। পাশাপাশি লেকের পানি বাড়ানো হবে, যাতে সারা বছরই নৌ-চলাচল নির্বিঘ্ন থাকে।

রাজউক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে প্রকল্প নিতে যাচ্ছি সেখানে নৌ রুটটা কড়াইল বস্তির কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। সেটা সমাধান করতে পারলে হাতিরঝিলের এই ওয়াটার নেটওয়ার্কটা চলে যাবে গুদারাঘাট হয়ে কালাচাঁদপুর, বনানী কবরস্থান এবং নিকেতন হয়ে চেয়ারম্যান বাড়ী পর্যন্ত। কিছু ঝামেলা আছে, সব পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী মহাদয় যখন বসবেন সেগুলোর সুরাহা হয়ে গেলে লেকটা থ্রো হয়ে যাবে।’

রাজউকের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীর চারপাশে আরও নতুন নৌপথ চালুর পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘শুধু হাতিরঝিল নয় ঢাকা শহরের চারপাশে যে খাল ও নদী আছে সেগুলোকে ব্যবহার করে নৌ ট্যাক্সি চালানো যায়। এতে একদিকে অপারেশনে যারা থাকবেন তারা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন, তেমনি নগরবাসী সড়ক পরিবহনের পাশাপাশি বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা পাবেন।

মন্তব্য করুন