চট্টগ্রামে নিহত বেড়ে ৩, দুজনের পরিচয় মিলেছে

চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর-মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং অপরজন পথচারী বলে জানা গেছে প্রাথমিকভাবে। এছাড়া এ ঘটনায় অন্তত আরো ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।

নিহতরা হলেন- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম এবং ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী ফারুক। ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আর ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

নগরের মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। কারো কারো হাতে অস্ত্রের দেখাও মিলছে। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দেখা যায়নি। পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এরপরে তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়।