
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আজ ১৭ই জুলাই বুধবার সকাল থেকে গাইবান্ধা জেলা শহরে কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী দের ব্যাপক আন্দোলন মিছিল চলছিল। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও গাইবান্ধায় সকাল ১০ টায় কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে এসে ১ নং ট্রাফিক মোড়ে মিলিত হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো সড়ক গুলিতে মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে উঠে। শহরে মিছিলের এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। ছাত্র-ছাত্রীরা শহরের এক নম্বর রেলগেট অবরোধ করে রেললাইন রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়।
১ নং রেলগেটের উত্তর পাশেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। সেখানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কোটাবিরোধী ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ১০ /১২ টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। রেল লাইনে থাকা পাথর দিয়ে ঢিল নিক্ষপ করে এবং ভাঙচুর চালায়। হামলায় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, পৌর কমিশনার শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কামাল হোসেন , আবদুল হাকিম শাকিল, শাহ আললসহ ৮/১০ জন আহত হন। তারা বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এ পর্যায়ে পুলিশ কাঁদুনি গ্যাস দিয়ে আন্দোলন কারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় তারপরে তারা কয়েক রাউন্ডটি আর শেল নিক্ষেপ করে। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ শহরের দখল নেয়। এরপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একটি মিছিল বের করে বিএনপি জেলা অফিসে ভাঙচুর চালায়। এখন পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন