
প্রকাশিত: ২৪ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিতে গিয়ে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। আন্দোলনে বিএনপির অংশগ্রহণ তেমন চোখে না পড়লেও এই ইস্যুতে সারাদেশে বিএনপি নেতাদের গণগ্রেপ্তার চলছে চলে দাবী করছে দলটির দপ্তর।
গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতারাও পড়েছে বিপাকে। পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদেরও।
এই ইস্যুতে সরকারও সমানে দোষারোপ করছে বিএনপি এবং জামায়াতকে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দেয়ায় সরকারের টার্গেটে পড়েছে বলে মনে করেন তারা। টানা চারবার ক্ষমতায় থাকার পরও সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কেমন ভীত তা প্রমাণ হয়েছে ছাত্রদের এই আন্দোলনে। কোন আন্দোলনই বৃথা যায় না বলেও মনে করেন তারা।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে একের পর এক মামলা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে কয়েকশ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রেস উইংয় সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সারাদেশে আড়াই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া, ছয় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে বলেও দাবী এই নেতার।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, চেয়ারপার্সনরে বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নিরব ও সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম সহ আরও অনেককে।
তল্লাশি চালানো হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায়ের নয়াপল্টন অফিসে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নয়াপলন্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এর আগে নয়াপল্টন অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু ককটেল ও অস্ত্র উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির মধ্যম সারির এক নেতা দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপির বিপদ চারদিকে। যারা যাই করুক সব দোষ সরকার বিএনপির উপর চাপানোর চেষ্টা করে। এটা নতুন নয়। বিএনপি ছাত্রদের যৌক্তির আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে, এটা দোষের কিছু নয়। এটাকে ইস্যু করে বিএনপি নেতাদের সমানে গ্রেপ্তার করা অন্যায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার গায়ের জোরে সবকিছু করতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে আওয়ামী লীগের চরিত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সরকার একটা সুযোগ পেলেই বিএনপিকে দমনের চেষ্টা চালায়। এটা নতুন কিছু নয়। তারা এবারও সেই সুযোগ নিয়েছে। কোটা আন্দোনের সুযোগে আবারও বিএনপির উপর দমন পীড়ন চালাচ্ছেন। এতে বিএনপি ভীত নয় বলেও জানান বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই নেতা।
মন্তব্য করুন