
প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বেকার সময় পার করছেন দুই বন্ধু কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দুই বন্ধু আড্ডায় দেখছিলেন ইউটিউবে তরমুজ চাষ। ইউটিউব দেখে সিদ্ধান্ত নেয় তরমুজ চাষ করবে দুই বন্ধ যেমন চিন্তা তেমন কাজ কিন্তু নিজেদের কৃষি জমি নেই। ৪৫ শতক জমি টাকার বিনিময়ে নেন দত্তক, নেমে পড়েন তরমুজ চাষে।
অন্যের জমি লিজ নিয়ে উচ্চ ফলনশীল তরমুজ চাষ করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার লাভবানও হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মিজান ও শাহিন।
বলতে গেলে চাষাবাদে সফল তারা। এমন কৃষক বন্ধুত্বের দেখা মিলেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মকুন্দুপুর গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ৪৫ শতকের একটি জমিতে উচ্চ ফলনশীল তরমুজের চাষকৃত জমি।এর আগে ওই জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ধান কাটার পরপরই জমি হালচাষ দেওয়া হয় তারপরই তরমুজ এর বীজ রোপণ করেন তারা এখন পর্যন্ত প্রায় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তারা।
আরো প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তরমুজ চাষি দুই বন্ধু মিজান ও শাহিন।
কৃষক শাহিন ও মিজান রুপালী বাংলাদেশ কে জানান, ৪৫ শতক জমি লিজ নিয়ে সেখানে ব্লাক বেবি নামের তরমুজ চাষ করেন ইউটিউব দেখে। চাষাবাদে সফলতাও আসছে তাদের তবে ইউটিউবের পাশাপাশি যদি কৃষি অফিসারের পরামর্শ পেতেন তাহলে দেড় থেকে ২ লাখ টাকার তরমুজ বেশি বিক্রি হতো। অনেক তরমুজ পচে গেছে আবার অনেক তরমুজ গাছের ফলনের শুরুতে ফললেও রয়ে গেছেন অনেকটাই ছোট। তার পরেও প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা মিজান ও শাহিন।
এদিকে কৃষক শাহিন জানা কৃষি অফিসারকে আমরা অনেক বার কল দিয়েছি এসে আমাদের তরমুজ চাষে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমাদের সহযোগীতা করার জন্য কিন্তু তারা আসেন নি কিংবা ফোনেও আমাদের কোনো পরামর্শ দেন নি। বেশিরভাগ সময় তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের অভিযোগ কৃষি অফিসারের পরামর্শ না পাওয়ায় লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
রুপালী প্রতিবেদক উপজেলা কৃষি অফিসারকে একাধিকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়ায়, কৃষি বাতায়ন একটি ওয়েবসাইট থেকে কৃষি সম্প্রসারণের নাম্বার নিয়ে ফোন করলে কল রিসিভ করে জানায়, এটা কৃষি অফিসের নাম্বার না সে একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার সে বিজয়নগরের বাসিন্দা কিন্তু সে বিজয় নগরের বাইরে থাকেন।
পরে পাহাড়পুর ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা কৃষি অফিসার আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বললে জানায়, কৃষক শাহিন তার মামা শশুর রমজান মাসে সে ৩ বার তরমুজ ক্ষেতে যান এবং পরামর্শ দেন। তরমুজ চারায় সমস্যা হয়েছিল তখনও আমি গিয়েছিলাম এবং পরামর্শ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন বর্তমানে লিচুর সিজন আমি একা এই ইউনিয়ন দেখতে হয় একজনের কাছে বার বার যাওয়া সম্ভব না।
মন্তব্য করুন