
প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সর্বসাধারণের প্রতি উত্তম ব্যবহার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ চালু রাখতে হবে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার ট্রাফিক রমনা বিভাগের সদস্যদের সাথে এক ব্রিফিং প্যারেডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জয়নুল আবেদীন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। ব্রিফিং প্যারেডে ট্রাফিক রমনা বিভাগের কনস্টবল থেকে টিআই পদমর্যাদার তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত ফোর্সদের পোশাক, নারী সার্জেন্টদের ওয়াশরুম, অতিরিক্ত জ্বালানি তেল সরবরাহ, সরবরাহকৃত মালামালের বিভিন্ন সমস্যা, ফোর্সের আবাসন সমস্যা ও ডিউটিতে সাপ্তাহিক ডে অফ রাখার বিষয়ে ফোর্সের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি কিছু বিষয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
ব্রিফিং প্যারেডে উপস্থিত ট্রাফিক রমনা বিভাগের পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকা একটি জনবহুল শহর। সোয়া দুই কোটি লোক বসবাস করে এখানে। আবার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন আসা যাওয়া করে। এ শহরের মূল চ্যালেঞ্জ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা। তাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব অনেক বেশি। যানজটের কারণ অনেক। সাধারণ মানুষ ট্রাফিক পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। যানজটের জন্য যে কেবল ট্রাফিক পুলিশ দায়ী নয়,
সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের টিআই ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের দায়িত্ব হলো ক্রাইম বিভাগ তথা অফিসার ইনচার্জগণের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করা। পাশাপাশি স্কুল-কলেজের গাড়ি যেন রাস্তায় না রাখা হয় সে ব্যপারে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের হেলথ চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগে যারা কাজ করে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি। ইতিমধ্যে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগে হেলথ চেকআপ শুরু হয়েছে। সেটা শেষ হলেই ট্রাফিক রমনা বিভাগে হেলথ চেকআপ শুরু হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে দলটির নেতাকর্মীদের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজের পরিবারের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকার মতো আয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর গুরুতর আহত রাজ্জাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার চিকিৎসায় আইজিপি মহোদয় এক কোটি টাকা প্রদান করেছেন। আপনাদেরও যে কোন সমস্যায় আমাদের পক্ষে যতটুকু
সম্ভব তার সবটুকু করা হবে।
তিনি বলেন, এমন কিছু করা যাবে না যেন পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ধসঢ়;ন হয়। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সবাইকে স্মার্ট পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের পুলিশ হবে স্মার্ট পুলিশ।
ব্রিফিং প্যারেডে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) মোহাম্মদ সোহেল রানাসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন