প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে, ০৯:১১ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ

 

সদরুল আইনঃ

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার।

 সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। ১১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাবহারিক পরীক্ষা।

এবার সারা দেশে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। 

দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে মোট ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। 

দুই বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও সোয়া ৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন না।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে দেশের সব কোচিং সেন্টার গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

 এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সভাপতিত্বে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সারা দেশে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। শিক্ষাবিদরা বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হলো দারিদ্র্য এবং শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাওয়া। 

এসএসসি পাসের পর অনেক শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে। এটাও ঝরে পড়ার আরেকটি বড় কারণ। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের ওপর একটি জরিপেও এমন তথ্য উঠে এসেছে।

মন্তব্য করুন