
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বেশ কয়েক বছর ধরে তারা সরকারি কর্ম কমিশনের বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন গ্রেপ্তার হওয়া সরকারী কর্ম কমিশন- পিএসসি'র চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী। আবেদ আলী তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান , সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে আবেদের অন্যতম সহযোগী ছিলেন- গাজীপুর ক্যান্টনমেন্টের প্রতিরক্ষা ও অর্থ বিভাগে অডিটর পদে চাকরিরত প্রিয়নাথ রায় (৫১)।
তিনিও সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের এনে সৈয়দ আবেদ আলীর কাছে পৌঁছে দিতেন। এরপর আবেদ আলী পিএসসির অন্য কর্মকর্তাদের সাথে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। এই দুইজন মিলে এপর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫০ জনকে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে চাকরি পেতে অসদুপায় অবলম্বনে সহায়তা করেছেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে প্রথমে অগ্রিম নেওয়া হতো। এরপর নিয়োগপত্র পাওয়ার শর্তে চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে আবেদ আলী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে আবেদ আলী এই জবানবন্দি দেন। অন্তত আরো ছয়জনের এই মামলায় স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।
প্রিয়নাথ রায় প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদ আলীর কাছে নিয়ে গেলে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে অগ্রিম নেয়া হতো। এরপর প্রশ্ন বুঝিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। পরীক্ষার পর চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার শর্তে একেকজনের সাথে চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর বুঝে নেওয়া হতো এসব টাকা।
সবশেষ পিএসসির অধীনে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিলেন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় একেকজনের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন পিএসসির সাবেক গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলী। তাঁরা একাধিক নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেও জড়িত বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন