
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৪, ১১:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লা শহরতলী শাসনগাছা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতা জামিল হাসান অর্ণব হত্যাকাণ্ডের ২টি বিদেশি অস্ত্র ও প্রধান আসামি রাব্বীসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করছে জেলা পুলিশ।
বোরবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টায় কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০৭ রাউন্ড গুলি, ০৪টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নগরীর শাসনগাছা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে ফজলে রাব্বি (৩০),একই এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮), মৃত মনু মিয়ার ছেলে
রাশেদ (৩৮), আনোয়ার মিয়ার ছেলে কাউছার (২০), মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৬০), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে রিয়াজ (২৬), মৃত আবদুর রশিদের ছেলে সোলেমান (৩৮)।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটার পরপরই আমরা অভিযান কাজ শুরু করি। এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা গুলিবর্ষণকারী ফজলে রাব্বিকে পাঁচথুবি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার উপর থেকে গ্রেপ্তার করি।
তিনি আরো বলেন, রাব্বির কাছ থেকে দুটি ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল ও ছয় রাউন্ড লোডকৃত গুলি উদ্ধার করা হয়। আরেক আসামী মোঃ সুমনকে শাসনগাছার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি ম্যাগজিন সহ একটি বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আরেক আসামী রাশেদ কে বুড়িচংয়ের নিমসার ভাড়া বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আসামী কায়সারকে শাসনগাছা মোল্লা বাড়ী এলাকা থেকে, আসামী সোলেমানকে ও মোল্লা বাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবহারকারীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সব আসামীদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতি প্রস্তুতি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অফস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, কোতওয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কুমিল্লা শহরতলী শাসনগাছা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা জামিল হাসান অর্ণব নিহত হন। পরে ১৭ মার্চ নিহতের মা ঝর্ণা আকতার বাদী হয়ে এজহারনামীয় ২৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন