রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কোটি টাকা দূর্ণীতি; বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আর্থিক অনিয়ম, কলেজ সরকারি করণ, স্কেল পরিবর্তন, শিক্ষকের অবসর জনিত গ্রাচ্যুইটি, বেতন ভাতার কাগজপত্র ক্রটিপূর্ণ বিষয়ে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগে রাজশাহীর মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল মালেক মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ সভাপতি।

মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল মালেক মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গভর্নিং বডির সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার। 

চলতি মাসের ১১ মার্চ  সভাপতি স্বাক্ষরিত  কারণ দর্শানোর নোটিশের পর ২১ মার্চ কলেজ অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সভাপতি স্বাক্ষরিত মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষকে পাঠানো সাময়িক বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ্য করা হয়েছে, বেতন স্কেল পরিবর্তনের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ। কলেজ সরকারি করার অজুহাতে শিক্ষকদের নিকট হতে ৫৭ লাখ টাকা চাঁদা আদায়। বিগত ১০ বছর ধরে অধ্যক্ষ গভর্নিং বডিকে কোন প্রকার হিসাব না দিয়ে প্রায় দুই কোটি আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ মালেক। তিনি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান না করে তালিকা পাঠিয়েছেন। এছাড়াও সেলিম আহম্মেদ নামের একজন প্রভাষক দীর্ঘ ২০ বছর চাকুরী করার পর মৃত্যু বরণ করলে তার মৃত্যুর পর প্রভাষক সেলিম আহম্মেদ এর স্ত্রী গ্রাচ্যুইটিসহ অবসর জনিত টাকা উত্তোলন করতে চাইলে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডল ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে প্রভাষক সেলিম আহম্মেদের নিয়োগ অবৈধ বলে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমের জবাব অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক। অথচ প্রভাষক সেলিম জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি অন্যান্য শিক্ষকের মত প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করলেও তার মৃত্যুর পর নিয়োগটি অবৈধ দেখানো হয়েছে।

এছাড়াও তৃতীয় শিক্ষকের বেতন ভাতা বিষয়ে মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ১০ জন শিক্ষকের বেতন প্রদান থাকলেও ৯ জন শিক্ষকের বেতন ভাতার কাগজপত্র ক্রটিপূর্ণ দেখিয়ে প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ ৫০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডল বিগত ১০ বছর কলেজের আয় ও ব্যয়ের নিরিক্ষা কমিটি ছাড়াই দুই কোটি টাকার কাজ নিজের ইচ্ছামত করেছেন। এসকল অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার অসদ আচরণের কারনে কলেজের সকল স্টাফ তার উপর বিশ্রদ্ধ।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল মালেককে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। 

অধ্যক্ষকে বরখাস্তের বিষয়ে মোহনপুর গার্লস ডিগ্রি কলেজের গভনিং বডির কমিটির সভাপতি দীলিপ কুমার সরকার বলেন, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে ঘুষসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক মন্ডলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হযেছে। 

মন্তব্য করুন