রূপালী বিশ্ব

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

গাজায় পোলিও মহামারি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পোলিও মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসাত্মক সামরিক আগ্রাসনকে এই স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি গাজা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা। উপত্যকাটিতে পোলিও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া উচ্চ ঝুঁকির আশঙ্কার কথাও জানায় সংস্থাটি।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এই পোলিও মহামারি বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূল কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে। খাবার পানি ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির অভাব, ক্ষতিগ্রস্ত পয়ঃনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক এবং টনকে টন ময়লা অপসারণের জন্য ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কম্পোনেন্ট  চলতি মাসের শুরুর দিকে পোলিওভাইরাস টাইপ ২ শনাক্তের ঘোষণা দিয়েছিল। এই ভাইরাসটি নর্দমায় পাওয়া গেছে, যা সংগ্রহ করা হয় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় শিবিরের তাঁবু থেকে। তাদের মাধ্যমেেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে।

গত শুক্রবার, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গাজায় ১০ লাখের বেশি পোলিও টিকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। শিশুদের এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য আসন্ন দিনগুলোতে এসব টিকা প্রদান করা হবে।

সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা সবচেয়ে বেশি পোলিও ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণের মধ্যে গুরুতর লক্ষণ হলো জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব। এই সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি একত্রে কাজ করছে, যাতে গাজার জনগণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।

 

মন্তব্য করুন