
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। এরপর যুক্তরাষ্ট্র । তবে নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে বিশ্বের একক পরাশক্তি হিসেবে হাজির হয় যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা, আফ্রিকা কিংবা ইউরোপ-এশিয়া, বিশ্বের প্রতিটা দেশ ও অঞ্চলে এককতরফা রাজ করে আসছিল দেশটি। তবে রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনে শি জিনপিং ক্ষমতায় এলে কিছুটা বাধার মুখে পড়ে মার্কিন আধিপত্য। তাই বাধ্য হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিত্রদের ঢেলে সাজাচ্ছে ওয়াশিংটন। বছর খানেক আগেই এশিয়ার অন্যতম মিত্র জাপানের শান্তিকামী সংবিধান পরিবর্তন করে সামরিক ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আর এবার চীনকে মোকাবিলার অজুহাতে জাপানে মার্কিন সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। তাই জাপানে মার্কিন সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করা হবে। এশিয়ার ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির মুখে নিজেদের জোটকে আধুনিক করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) এমনই তথ্যই দিয়েছে ওয়াশিংটন ও টোকিও।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বিতর্কিত বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে আগ্রাসী হয়ে উঠছে চীন। তাদের এই আগ্রাসী মনোভাব বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে উত্তর কোরিয়া অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই দুই দেশের সঙ্গেই আবার রাশিয়ার দহরম-মহরম সম্পর্ক। এসব বিষয় বেশ সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
রোববার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া টোকিওতে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন তারা। একই সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জবরদস্তি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। স্বাভাবিকভাই যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভালোভাবে নেবে না চীন। তাদের এই ঘোষণা বেইজিংকে নতুন করে চটিয়ে দেবে বলেই জানিয়েছে সিএনএন।
মন্তব্য করুন