ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: ১১ মে, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঢকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

তীব্র রোদে বৈশাখের প্রচন্ড দাবদাহ। ঘরে-বাইরে অসহনীয় গরম। হালকা দখিনা বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের সৌরভ। উপর দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে লাল-সবুজের লুকোচুরি খেলা। এমন দৃশ্য দেখা যায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশে। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে আছে গাছে গাছে। প্রকৃতিকে সাজাতে মেতে ওঠেছে এই গাছগুলো।

এ ব্যতিক্রমী বিরূপ আবহাওয়ায় যখন মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সে মুহূর্তে নির্মল বায়ুতে নিশ্বাস নিতে ও আনন্দ বিনোদন পেতে হাতের কাছেই কৃষ্ণচূড়ার ছায়তল যেন স্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছে ভ্রমণ পিপাসুদের। এমন দৃশ্যই যেন চোখে পড়লো ময়মনসিংহের ত্রিশালে। উপজেলার পৌর শহরের কোর্ট ভবন এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশের একটি কৃষ্ণচূড়া শোভিত গাছের নিচে কয়েকজন যুবক কৃষ্ণচচূড়ার সুশীতল ছায়াতলের মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তুলছেন ছবি। একে অপরের ছবি তুলতে ব্যস্ততারা। কেউ কেউ আবার নিজেই নিজের সেলফি তুলছেন। পাশেই কৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতলে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হৃদয়কে একটু প্রশান্তি দিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন এক ভ্যানগাড়ি চালক। এ মুহুর্তে গাছে গাছে ফুটেছে ফুল। চারপাশটা যেন ফুলে ফুলে ভরে গেছে। তবে সব ফুল যে কৃষ্ণচূড়ার মতো নজর কাড়তে পারছে তা কিন্তু নয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশের ১৬ কিলোমিটারে এরকম সুশোভিত কৃৃষ্ণচূড়ার সুশীতল ছায়াতল আরও দেখতে পাওয়া যায়। সবুজ চিকন পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ
পাতা এক অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন শোভা পাচ্ছে।

কৃষ্ণচূড়ার সুবাস ও সৌন্দর্যে মুখরিত দর্শনার্থীদের নতুন আকর্ষণ এখন এই কৃষ্ণচূড়ার তল। এখানে এসে সবাই স্মৃতি ধরে রাখতে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় এসেছে। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি

এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনোক্রমে টিকে আছে শহরের পথে-প্রান্তরে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এই ফুল যেন এখন বাঙালির ঐতিহ্যেরই একটা অংশ হয়ে গিয়েছে সবার অজান্তেই। এর সবচেয়ে বড় খ্যাতি হচ্ছে মোহনীয় রক্তিম আভা। সবুজের বুকচিরে বের হয়ে আসা লাল ফুল এতোটাই মোহনীয় যে, পথচারীরাও থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হন।

বৃক্ষপ্রেমিক লেখক এস এম মাসুদ রানা জানান, মহাসড়কের পাশের এই কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো সৌন্দর্য তাঁর দৃষ্টি কেড়েছে। তাই এই সৌন্দর্য উপভোগের মুহূর্তটিকে স্মরনীয় করে রাখতে ছবি তুলেছি।

জানা যায়, ২০১৬ সালে ত্রিশালের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন বলেন, সবুজ ত্রিশাল গড়ার লক্ষ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দু’পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা গুলো রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে রোপণকৃত ওই চারাগুলোই অপরূপ সাজে সেজেছে। যা সহজেই নজর কাড়ছে পথচারীদের।

মন্তব্য করুন