
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ, ২০২৪, ০৫:২০ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য এলে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুই দেশ নিজ নিজ দেশের শক্তি ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক হয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএন-এর মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সহযোগিতার জন্য ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।
৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা ও রানী জেটসুন পেমার এখন চারদিনের সরকারি সফরে ঢাকায় রয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে মার্চের এই ঐতিহাসিক মাসে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফরের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দু’দেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্খা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞ চিত্তে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ভুটানের রাজা বাংলাদেশে উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ ও জ্বালানীসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ভুটানের পক্ষে সে দেশের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে ফুলের তোড়া উপহার দেন এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানী জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে ভুটানের রাজা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে বঙ্গভবনের মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন