
প্রকাশিত: ৫ জুন, ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দুধ খাওয়ানো ও সহযোগিতা করার কথা বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ড (গাইনি বিভাগ) থেকে এক নারীর নবজাতক চুরির ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সই করা এক আদেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আদেশে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফিরোজা ওয়াজেদ, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. লুৎফন্নেছা ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. আব্দুর রহমান। তাদের মধ্যে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফিরোজা ওয়াজেদকে সভাপতি, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. লুৎফন্নেছাকে সদস্য ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়।
গত সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা শিশুকে চুরি করে নিয়ে যান এক নারী। এই ঘটনায় ওই নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানা একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এখন পর্যন্ত ওই নবজাতককে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, দুই নবজাতক তাদের দাদি হাসিনা বেগম ও বাবা শরিফুলের কাছে ছিল। সহযোগিতা করার কথা বলে বাবার কাছ থেকে এক নারী বাচ্চাটিকে কোলে নেন। কিছু সময় তাঁর কাছে রাখেন। এভাবে দাদি ও বাবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় তাঁদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শিশুকে নিয়ে আনসারদের নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে পালিয়ে যান।
চুরি হয়ে যাওয়া শিশুটির বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, মহিলা ওয়ার্ডের গেটে এক নারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পুরুষদের ওই ওয়ার্ডে যেতে দেওয়া হয় না। এই সুযোগে ওই নারী বাচ্চাকে নিয়ে মায়ের কাছ থেকে দুধ খাওয়ানোর কথা বলে পালিয়ে যান।
সুখি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী শরিফুল ইসলাম ট্রাকচালকের সহকারী। বর্তমানে তাঁরা ধামরাই কালামপুরে থাকেন।
মন্তব্য করুন