প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৯:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পূর্বের মবের দৃষ্টান্ত দিয়ে এখনকার মবের বৈধতা দেয়া যায় না : বাংলাদেশ ন্যাপ



যত বড়ই অপরাধিই হোক না কেন. মব সৃষ্টি করে তার বিচার সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষদ্বয় বলেন, ‘স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই দেশে মব শুরু হয়। অর্থাৎ মব আগেও ছিল। ফ্যাসিবাদী রেজিমে এরকম শত শত মবের দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনকি সে সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়ও মব হয়েছিল। আমরা তখনও মবের বিরোধিতা করেছিলাম, এখনো বিরোধিতা করছি। পূর্বের মবের দৃষ্টান্ত দিয়ে এখনকার মবের বৈধতা দেয়া যায় না।’

বুধবার (২৫ জুন ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সম্প্রতি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে জুতার বারি দেওয়া বা জুতার মালা গলায় পরানোর ঘটনা অত্যান্ত নিন্দনীয়। গত তিন প্রহসনের নির্বাচনের পেছনে যারা ছিলেন, তাদের প্রত্যেককেই এসব নির্বাচন ও গণতন্ত্র ধ্বংসের দায় বহন করতে হবে। তাদের সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু বিচারের পূর্বেই তাদের মব সৃষ্টি করে হেনস্থা করার মাধ্যমে যে উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে তা মোটেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কোনও দৃষ্টান্ত হতে পারে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা ন্যায়বিচার দেখতে চাই, বিচারের নামে কোন ধরনরে প্রহসন, কিংবা মব বিচার যাতে আর কোনোভাবেই চলতে না পারে, সেজন্য সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমে, মব কালচারের মাধ্যমে নয়। মব কালচার কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ইউএনও একটি বিশেষ ঘরণার আলেমদের সাথে যোগসাজশে প্রবীণ আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমান সাহেবকে প্রকাশ্য জনসম্মুখে যেভাবে হেনস্তাও এক ধরনের ‘প্রশাসনিক মব’। একজন সরকারি কর্মকর্তার এহেন পক্ষপাতিত্ব, উদ্যতপূর্ণ আচরণ, অসৌজন্যতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে উক্ত ইউএনও সাহেবকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসাথে যেসকল আলেম ওলামাগণ সেখানে উপস্থিত থেকে মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমকে অপদস্ত করায় মদদ জুগিয়েছেন, তাদের জানা দরকার এ অপমান পুরো আলেম সমাজের। যার অন্তর্ভুক্ত তারা নিজেরাও।’

তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতি গভীর পরিতাপ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশে এক ধরনের মব তৈরি করে হামলা, অবমাননা, নির্যাতনের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপরে আক্রমণ হয়েছে, মাজারে আক্রমণ হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপরে আক্রমণ হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। অভ্যুত্থানের ১০ মাস  অতিবাহিত হলেও এসব ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর কোনও ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। যা জাতিকে হতাশ করছে।’

নেতৃদ্বয় ‘সোমবার (২৩ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি কার্যালয়ে অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে ও গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ বিষয়ে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। ’

মন্তব্য করুন