
প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২৪, ০৮:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল হক রকি খুনসহ একাধিক মামলার আসামি দুই বন্ধু সবুজ সওদাগর ও আলী হাসান। খুনের আসামি বন্ধুর হাতেই আরেক বন্ধু খুন হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সেই সবুজ সওদাগরকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি।
শনিবার (১৮ মে) বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরাফত ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বেলাইলের হাজীর মিল এলাকা থেকে সবুজ সওদাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বগুড়া সদরে শহরদীঘি এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন আলী হাসান (৩৬)। সে ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রকি খুনসহ একাধিক মামলার আসামি এবং শহরের মালগ্রাম এলাকার জিন্নাহ মিঞার ছেলে। আলী হাসান খুনের ঘটনায় তার বাবা জিন্না মিঞা বাদী হয়ে সবুজ সওদাগরসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন- সবুজের মা সিল্কী বেগম, সবুজের ভাই সম্রাট সওদাগর ও তাঁর স্ত্রী লিপি বেগম।
সুত্র জানায়, আলী হাসান কারাগারে থাকার সুযোগে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করেন সবুজ সওদাগর। কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর পরকীয়া ও বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি হাসান। এনিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে দুরত্ব হয়। ঘটনার দিন বউ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে আলী হাসানকে বাড়িতে ডেকে খুন করে সবুজ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরাফত ইসলাম জানান, আলী হাসানকে খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল সবুজ সওদাগর। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।
মন্তব্য করুন