
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ায় জমিতে সেচের পানি দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আবারও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বগুড়া সদরে ঘটনার দুইমাস পর গাবতলী উপজেলায় সেচ পাম্পের মালিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ গ্রাম এলাকার জমিতে সেচের পানি দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত সেচ পাম্পের মালিক আমিনুল ইসলাম (৪৪) বুরুজ গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক হৃদয় হাসান (২৩) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
নিহত আমিনুলের ছোট ভাই আব্দুর রহমান বলেন, তার বড় ভাই পাম্প দিয়ে বানিজ্যিকভাবে জমিতে পানি সেচ দিতেন। একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে দিপনের জমিতে সেচ দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হৃদয় নামের যুবক সেচ পাম্পের কাছে গিয়ে আমিনুলকে তাৎক্ষণিক দিপনের জমিতে সেচ দিতে বলে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হৃদয় হাসান ছুরি বের করে আমিনুলের বুকে ও পাজরে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে আটক করে এবং আমিনুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বেলা ১১ টার দিকে সেচ পাম্প মালিক মারা যান। আমিনুল মারা যাওয়ার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ দিপন স্ব-পরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ পিপিএম বলেন, আটক হৃদয়ের নানা বাড়ি বুরুজ গ্রামে। সে জমির মালিক দিপনের ভাগ্নে। কয়েকদিন আগে হৃদয় সেখানে বেড়াতে এসেছিলো। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমিনুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া এলাকায় জমিতে পানি সেচ তর্কে হাতাহাতির সময় আব্দুল করিম (৫৫) নামের সেচ পাম্প মালিক নিহত হয়েছিলেন। তিনি বগারপাড়া এলাকার মরহুম তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
মন্তব্য করুন