বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৪, ০২:২৬ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

বগুড়ায় সরকারি চাল উদ্ধার, তিনজন আটক

ছবি সংগৃহীত

বগুড়ার দুই উপজেলায় পৃথক অভিযানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চার মেট্রিকটন চাল উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় হাতেনাতে তিনজন কালোবাজারিকে আটক করা হয়েছে। 

বুধবার (২০ মার্চ) বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া বন্দরের একটি মুদি দোকান থেকে সরকারি বিতরণের দুই হাজার কেজি চাল এবং আগেরদিন মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার পুরাতন চালপট্রি বাজার এলাকা থেকে ২ হাজার ১৯০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। 

আটককৃতরা হলো- বগুড়া সদরের বাঘোপাড়ার মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মুদি দোকানি ফটু মিয়া (৫০), আদমদীঘির সান্তাহার নতুন বাজার এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে কামাল উদ্দিন (৫০) ও একই উপজেলার উথরাইল উত্তরপাড়ার ফরজান আলী মৃধার ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ (৫২)। 

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম বাঘোপাড়া বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। 

বন্দরের ফটু মিয়ার মুদি দোকান থেকে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির ৩৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়৷ বস্তাগুলোতে সবমিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কেজি চাল রয়েছে। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটক মুদি দোকানি ফটু মিয়াসহ স্থানীয় আরও তিন যুবক ইমরান, সিরাজুল ও নুর আলমের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তারা কর্মসূচীর উপকারভোগী সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে স্বল্প দামে চাল কিনে অধিক দামে বাজারে বিক্রি করতেন। অভিযুক্ত বাকি তিনজন অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। 

অন্যদিকে মঙ্গলবার আদমদিঘীর সান্তাহার পুরাতন চালপট্রি বাজারে অভিযান চালিয়ে সরকারি বিতরণের সোয়া দুই মেট্রিকটন চাল জব্দ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন। খাদ্য অধিদপ্তরের মোড়কজাত পাটের ৭৩ বস্তায় ২ হাজার ১৯০ কেজি সরকারি চাল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

সরকারি বিতরণের চাল উদ্ধারের ঘটনায় কামাল উদ্দিন ও আব্দুল ওয়াহেদ নামের দুইজন ব্যবসায়ীকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

আদমদীঘি সদর এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকদুবুল হক বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের বরাদ্দে দরিদ্র ও গবীর মানুষের মাঝে (ভিডব্লিউবি) ৩০ কেজি ওজনের এক বস্তা করে চাল বিতরণ করা হয়। কামাল ও ওয়াহেদ সরকারি চালগুলো কিনে কালোবাজারে বিক্রির জন্য ঘরের বারান্দায় রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। 

এর আগে গত ১৪ মার্চ আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম যুবলীগ নেতা উজ্জল হোসেনের গুদাম থেকে সরকারি ১৪ বস্তা চাল জব্দসহ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। 

মন্তব্য করুন