
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার পাথরঘাটায় বাবার বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইসরাত জাহান ইভা (২৪) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে জামাইয়ের অভিযোগ শাশুড়ি তার স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। অপরদিকে নিহতের মায়ের অভিযোগ জামাই তার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০ টার সময় পাথরঘাটা থানা পুলিশ উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত ইভা ওরফে কারিমা একই গ্রামের জালাল মাঝির মেয়ে। নিহতের শ্বশুর বাড়ী উপজেলার চরদুয়ানী হোগলাপাশা গ্রামে। তার স্বামীর নাম সোহেল রানা। সে ঐ গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে।
জানা যায়, রোববার রাতের খাবার খেয়ে ঘরের সবাই নিজ নিজ কক্ষে যান। কিছুক্ষণ পর কারিমা স্বামীর বিছানা থেকে তার মা খাদিজা বেগমের কক্ষে যান। পরে রাত সাড়ে ৪টার দিকে সোহেল রানা তার স্ত্রী কারিমাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে শাশুড়ি কাছে গিয়ে জানতে চায় কারিমার কথা। এসময় তার কাছে কারিমা নেই জানতে পেরে খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে ঘরের সামনের বারান্দায় আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে আসছি। আজ সকালে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল আমার। কারিমার মৃত্যু ব্যাপারে তিনি বলেন এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে আমরা দুজনে ঘুমাতে যাই।
একপর্যায়ে সে বিছানা থেকে ওঠে শাশুড়ির ব্যবহৃত স্মার্টফোনের লক খুলতে যায়। লক খুলতে গিয়ে কারিমা আর মায়ের কক্ষে থেকে ফিরে না আসায় খোঁজ নিতে গেলে তার মরদেহের সন্ধান মিলে। আমার সন্দেহ হয় মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মা তার স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। যেভাবে পা চেয়ারের সঙ্গে লেগে ছিল তাতে আত্মহত্যা নয় এটি হত্যা বলে প্রতিয়মান হবে সবার।
এদিকে শাশুড়ি খাদিজা বেগমের অভিযোগ বলেন, জামাই আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন সে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা বলে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামল রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন