
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনোভাবেই সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম নিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞের মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। কিন্তু, বিএনপি-জামায়াত ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবিলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করছেন, উল্লেখ করে কাদের বলেন বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন দেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন । যা জনমনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য বিবৃতিতে তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামাতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর।
আরবি/এস
মন্তব্য করুন