ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বকাপে রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে সাকিবকে

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে সাকিব আল হাসানকে। মাঠে নামলেই রোহিত শর্মা ও সাকিব গড়ে ফেলবেন নতুন এক রেকর্ড। দুজনেই রেকর্ড গড়বেন সব টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার কীর্তি। 

এ ছাড়া সাকিব আরও দুটি রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে। আর মাত্র ৩ উইকেট শিকার করলেই সাকিব হয়ে যাবেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হাফসেঞ্চুরি করা প্রথম বোলার। সেই সঙ্গে যদি করেন আরও ২৫৮ রান, তাহলে বনে যাবেন হাজার রান আর ৫০ উইকেট শিকার করা প্রথম অলরাউন্ডারও।

এর আগে সাকিব ২০০৭ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম আসরে সাউথ আফ্রিকায় সুপার এইটসহ বাংলাদেশ খেলেছে পাঁচ ম্যাচ। সেখানে সব ম্যাচ খেলে সাকিব নেন ৬ উইকেট। অন্যদিকে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৬৭ রান। 

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ খেলে দুই ম্যাচ। বল হাতে ২ উইকেট নিলেও রান করেন ১৫। ম্যাচ দুটি ছিল ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটিই ছিল সাকিবের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ। 

২০১০ সালে বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটে-বলে দুই বিভাগেই ছিলেন ছন্দে। সাকিবের ক্যাপ্টেন রান ৭৫ আর উইকেট ৪টা। শেষমেশ বাংলাদেশ জিততে পারেনি একটি ম্যাচেও। অল্পের জন্য পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেননি তারা। সেই দুই ম্যাচে হারার ফলে তার যাত্রাটা শেষ হয়ে যায়।

২০১২ সালে বাংলাদেশের ওপর প্রত্যাশাটা ছিল বেশ বড়। কিন্তু লংকানদের মাটিতে সেটি পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও কিউইদের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ। হেরে যায় দুই ম্যাচেই। সাকিব ব্যাট হাতে করেছিলেন ৯৫। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা ৮৪ রানের ইনিংস। তবে বল হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ, উইকেট পাননি একটিও। 

২০১৪ তে সাকিবের রান ছিল ১৮৬ আর উইকেট ৮টি। ২০১৬ তে ভারতের মাটিতে ২০১৪ এর প্যাটার্নেই সমান সাত ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সাত ইনিংসে সাকিবের রান ১২৯ আর ছয় ইনিংসে উইকেট নেন ১০টা। 

২০২১ সালে ইনজুরির কারণে সাকিব মিস করেন দুই ম্যাচ। ছয় ম্যাচে করেন ১৩১ রান। বল হাতে ১১ উইকেট। 

২০২২ সালে সাকিবের ক্যাপ্টেন্সিতে বাংলাদেশ খেলে পাঁচ ম্যাচ। ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪৪ রান। বল হাতে ছয় উইকেট।  

মন্তব্য করুন