
প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে, ১১:৩৭ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভোর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন বিভিন্ন সেক্টরে এ গোলাগুলি চলে।
এতে সীমান্তজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, পারগাওয়াল, নওশেরা, সুন্দরবানী ও আখনুর সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানি সেনারা আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ভারত পালটা গুলি চালিয়ে জবাব দেয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অযাচিত ছোট অস্ত্র ব্যবহারের’ অভিযোগ করেছে। দেশটি বলছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। ভারত এসব হামলাকে হালকাভাবে নিচ্ছে না এবং প্রতিবারই উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
এর আগের রাতেও (২৮ এপ্রিল) দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। তাতেও ভারত ‘পরিমিত ও কার্যকর’ জবাব দিয়েছে বলে জানায়।
গত সপ্তাহ থেকে সীমান্তে থেমে থেমে গুলি চলার প্রেক্ষাপটে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে দুই দেশের পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
উল্লেখ্য, উত্তেজনার সূত্রপাত হয় ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর। পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিরা ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ খ্যাত পর্যটন এলাকায় ছুটি কাটাতে আসা ২৬ জন পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে এক নেপালি নাগরিক এবং এক স্থানীয় কাশ্মীরিও ছিলেন।
এই ঘটনার জেরে ভারত সরকার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, হামলাকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
জবাবে পাকিস্তান এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে এবং পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফলে সীমান্তে গোলাগুলির পাশাপাশি কূটনৈতিক পর্যায়েও চলছে তীব্র টানাপোড়েন।
দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
মন্তব্য করুন