
প্রকাশিত: ৭ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বিভিন্ন এনজিও থেকে বউ-শাশুড়ি ঋণ নিয়েছেন। স্থানীয়ভাবেও তাদের আছে দেনা। এরমাঝে এক ব্যক্তি বউ-শাশুড়িকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেয়। বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে দিনদুপুরে একই পরিবারের দুই যমজ পুত্রসহ সাতজন নিখোঁজের পর এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
একসঙ্গে সাতজন নিখোঁজের বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৫১০) করেছেন জীবন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। স্ত্রী সন্তান, শাশুড়ি ও শ্যালক-শ্যালিকাসহ গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের
নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন জীবন মিয়া। তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনাবেচার দোকান পরিচালনা করেন।
গত বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে ভাড়া বাসা থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ হন জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০), তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা বৃষ্টি খাতুন (১৩), দুই যমজ পুত্র হাসান ও হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০), শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) এবং শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)। এর মধ্যে ফাতেমা বেবি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। তিনি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা ছিল। লালমনিরহাটে খোঁজ নিয়েও তাদের সন্ধান মেলেনি।
জীবন মিয়া বলেন, ঘটনার দিন বাড়িতে দুপুরের ভাত খেতে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। স্ত্রী রুমি বেগমের ফোন বন্ধ আর শাশুড়ি ফাতেমা বেবির ফোন বাসাতেই ছিল। নিখোঁজ সবাই পরনের কাপড়চোপড় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে যায়নি। তার দাবি, একমাস আগে এক ব্যক্তি শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়েছে। নিখোঁজ সাতজন মানবপাচারের শিকার হয়েছেন বলে শঙ্কা করছেন।
নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) তারিকুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা বেবি ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে কল করলে জামাই রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানায়। তাকে ডেকে বিস্তারিত শুনে জিডির ব্যবস্থা করি।
এই পুলিশ কর্তা জানান, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন বলে অনুসন্ধান করে জেনেছেন। স্থানীয়ভাবেও তাদের দেনা আছে বলে তথ্য পেয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন