প্রকাশিত: ১৪ ঘন্টা আগে, ০৪:১৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

যুবককে গুলি করে হত্যার পর বন্ধুকে হুমকি, ‘তোকেও খেয়ে ফেলবো’

 

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) সংবাদদাতাঃ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এলাকায় মিজানুর রহমান অভি (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

 পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর অভির বন্ধু নুর আলম বেপারীকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের হাশিমপুর বকুলতলা এলাকা থেকে অভির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভি নারায়ণগঞ্জে পরিবার নিয়ে বসবাস করেতেন। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক। গত ৪-৫দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর এসেছিলেন তিনি। 

সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ গাজীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। নাহিদ ওই এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিরোধের জেরেই অভিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মিজানুর রহমান অভির বন্ধু নুর আলম বেপারী বলেন, নাহিদ গাজীর সঙ্গে অভির বিরোধ চলছিল। ঘটনার রাত আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে নাহিদ গাজী তার ভাই নাজমুল গাজীর নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল। এসময় সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘অভিকে খেয়ে ফেলেছি, তোকেও খেয়ে ফেলবো’।

এ সময় ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে কান্নার শব্দ শোনা গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই হুমকির পরই বুধবার ভোরে স্থানীয় কামাল নামের এক যুবক একলাছপুর লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে রাস্তায় অভিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এবং এলাকাবাসীকে খবর দেয়।

 পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে বুধবার ভোর রাতের দিকে অভিকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আসামি গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চলছে। 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। অভিযুক্ত নাহিদ গাজীর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা আছে, সে নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ হত্যার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ।

এ ঘটনার পর থেকে নাহিদ গাজী নিরুদ্দেশ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন