বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জুন, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

যৌক্তিক কারণ ছাড়া পণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাজারে আলু পেয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও কেন দাম বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিপু। তিনি বলেছেন,  বোতলজাত পানি, সাবান, গুঁড়া সাবানসহ প্রসাধনীর বাজার নিযন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করণীয় আছে, তা করবেন।  

আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ-এ তিনি এসব তথ্য জানান।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ, আলু, পেয়াজ, সাবান ও পানির দাম বৃদ্ধি পাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার জানা নেই, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কেন এসব পণের দাম বাড়ছে, তা আমার জানা নেই, তবে একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই.. সরবরাহ যথেষ্ট আছে।

বেড়ে যাওয়া পন্যের পর্যাপ্ত  দেশে বোতলজাত পানির দাম কেন বেড়েছে, সে বিষয়ে খবর নিয়ে দেখা হবে। কোন যৌক্তিকতা না থাকলে, ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবান ও গুঁড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাবান নিয়ে এরআগে কেউ প্রশ্ন করে নাই। এটা নিয়ে কোনো কিছু করণীয় আছে কিনা সেটা দেখবো। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি।’

‘অনেক বিষয় আছে সেটা আমাদের কিনা দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। তাই সাবানের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে কিনা; সেটা দেখে আপনাদের জানাব, বললেন প্রতিমন্ত্রী।

বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি এটাকি আপনি স্বাভাবিক মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজারে আলু পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে, এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দাম যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার না। আমি দেখবো, সেটা বার বার বলার চেষ্টা করতেছি।’

তিনি বলেন, ‘যেকোন প্রাইজ নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি তাহলে দাম কমে যাবে। যতখন পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না। পেঁয়াজের দাম এতো। অত্যন্ত আমি পারবো না। সেটা কৃষি বিপনন অধিদপ্তর বলতে পারবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার মেকানিজম আমার জানা নাই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

 

মন্তব্য করুন