
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। পাকুন্দিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নোটিশে বলা হয়, এমদাদুল হক জুটন কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মিছিল, শোডাউন, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা নির্বাচন আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। লঙ্ঘনের অপরাধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার অনলাইনে “প্রচারণা শুরুর আগেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দেখা যায় তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রচার করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর তা আবার সরিয়ে ফেলা হয়। যেখানে কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল শোডাউন করছে তার সমর্থকরা। প্রথমে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে সরাসরি প্রচার করা হলে মুহুর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর আবারও ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
ভিডিওতে শোনা যায় তার সমর্থকরা বলছেন, আজকে (শুক্রবার) আমরা এমদাদুল হক জুটনের নির্বাচনী প্রচারণায়। ইতোমধ্যে আমরা হর্ষি বাজারের দিকে রওনা দিয়েছি। প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা রওনা হয়েছি। এটা নির্বাচনী প্রচারণা। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনের নামে স্লোগান দিতে শোনা যায়। পরে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের মাঝে রঙিন লিফলেট ভিতরণ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হক জুটন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। আমি দেখতেছি বলে ফোন রেখে দেন।
মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, এর আগেও আমরা তার নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি জেনেছি। এরপর তাকে মৌখিকভাবে সাবধান করে দিয়েছি। পুনরায় এমন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে লিখিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও প্রচারণা শুরুর আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগি উঠেছিল চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েই তিনি রঙিন ব্যানার ব্যবহার ও সমাবেশ করে প্রচারণা করেন। আর এমন প্রচারণা তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লাইভ করেছেন।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে পাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দের পরে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। তবে সেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধতা পেয়েই এমদাদুল হক জুটন প্রচারণা শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন