লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকান্ডে ৮ দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দুটি বিকট আওয়াজের পরপরই অগ্নিকান্ডে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের বলিরপুল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আগুনে মুদি ব্যবসায়ী করিম স্টোর, আলাউদ্দিনের ফার্মেসী, খুরশিদের ফার্মেসী, আনোয়ার বস্তবিতান, আবদুর রহমানের টেইলার্স, সুমনের টেলিকম ও আব্বাছের ফলের দোকান পুড়ে গেছে। এতে মুদি দোকানি করিমের প্রায় ৬০ লাখ টাকা, দুটি ফার্মেসীর প্রায় ৩ লাখ টাকা, বস্তবিতানের প্রায় ৮ লাখ টাকা, টেইলার্সের দোকানির প্রায় ৬ লাখ, টেলিকম দোকানির প্রায় ৬ লাখ টাকা ও ফল ব্যবসায়ীর প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

এছাড়া পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে তছলিম ৪টি, তোফায়েল ২টি, মোসলেহ উদ্দিন একটি ও বাবুল একটির ঘরের মালিক। দোকানগুলো পুড়ে গিয়ে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। 

প্রত্যক্ষদর্শী পল্লী চিকিৎসক রুবেল হোসেন জানান, মোবাইলফোনে সকালে একজন রোগীর কল পেয়ে তিনি দোকানে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অল্প সময়ের জন্য দোকানে বসেন তিনি। এরমধ্যে দুটি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। তাৎক্ষণিক বাইরে বের হয়ে দেখা যায় কাপড়ের দোকানে আগুন জ্বলছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসে। একপর্যায়ে তিনি ফায়ারসার্ভিসে কল দেন। 

দোকানঘরের মালিক তছলিম উদ্দিন বলেন, ৪ দোকানঘর আমার। তিনটিতে আমার ছেলেরা ব্যবসা করে। আর একটি অন্য একজন ভাড়া নিয়েছে। আমার সবগুলো দোকান পুড়ে গেছে।

মুদি দোকানি আবদুল করিম বলেন, আগুনে আমার সব শেষ। একটি মালামালও অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাইনি। এ ক্ষতি কিভাবে পূরণ করবো। সামনে ঈদ, পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবো। আগুনে আমার সব স্বপ্ন পুড়ে দিয়েছে। 

চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুড়ে যাওয়া ৮টি দোকানের ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকরা অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। তাদেরকে শান্তনা দেওয়ার মতো ভাষা নেই। 

কমলনগর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুল মজিদ বলেন, ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আমরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরআগেই ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।

মন্তব্য করুন