
প্রকাশিত: ৩ জুন, ২০২৪, ১১:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, অত্যাচার এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা সভাপতি নুরুল হাকিম নুকী লিখিত বক্তব্যে বলেন, নব্বই দশকের দিকে সোহেল জাহান শিবিরের ক্যাডার ছিল। ওই সময়ে ছাত্রলীগ নেতা এরশাদকে দিনদুপুরে হত্যা করেছিল সোহেল। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল আওয়ামী লীগের কর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো।
তিনি লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, 'সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি (নুকী) সোহেল জাহান চৌধুরী অন্য প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। কূটকৌশলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এরপরও ক্ষোভ কাটেনি সোহেলের। ইউপি নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট হয়ে একই ওয়ার্ডে এসে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে নুকীর ছোট ভাইয়ের ওপরে হামলা ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে সোহেলের সন্ত্রাসী দল। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু হলেও সোহেল জাহান দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তার দাবি ১৯৭১ সালে সোহেল জাহানের বাবা শাহজাহান চৌধুরী লুতু মিয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়ে ছিলেন। এখন তার ছেলে সোহেলও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কালীন কক্সবাজার জয়বাংলা বাহিনীর প্রধান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার কামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাধীন দেশে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে দিনের বেলা নেক্কারজনক ভাবে হামলা চালিয়ে রাতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া, পরবর্তীতে হত্যার হুমকি কখনো মেনে নেয়া যায় না। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে মুক্তিযোদ্বা পরিবারের নিরপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আলতাফ হোসেন, দপ্তর কমান্ডার সুনীল বডুয়া এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারে নেতানাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, শপথের পর তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসেছেন।
মন্তব্য করুন