
প্রকাশিত: ৫ জুন, ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পদচারনায়। বুধবার (৪জুন) বৃষ্টির মাঝেই উপজেলার চারশ বছরের পুরনো হাটে পশু পছন্দ করছেন ক্রেতারা।
এদিন দুপুরের পর থেকেই ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হতে থাকে পশুর হাট। বিশাল আকৃতি ও বাহারি নামের পশুর প্রতি আকর্ষণ থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে ছোট ও মাঝারি গরু।হাটে পর্যাপ্ত পশুর সরবরাহ থাকলেও কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় হতাশ খামারিরা। তবে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা তাদের।বিক্রেতারাদের হাঁকডাকে মুখর চারপাশ। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা নিয়ে শঙ্কায় তারা। এজন্য দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিক্রেতারা জানান, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু কেউ কিনতে চাইছেন না। বড় আকারের গরুর ক্রেতা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিক্রেতারা। এছাড়াও হাটগুলোতে গরুর সরবরাহ বেশি হওয়ায় খরচের তুলনায় তেমন দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে শঙ্কায় আছেন খামারি ও প্রান্তিক চাষিরা।
হাটে আসা খামারিরা বলেন, হাটে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। গো-খাদ্য, খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু লালন-পালনে এ বছর গরু প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম বলছে না ক্রেতারা। বড় গরুর দাম আরও কম দিতে চাচ্ছেন ক্রেতারা। তার ওপর ফেরত নিয়ে গেলে আবার খরচ আছে। তাই কিছুটা লস হলেও বিক্রি করে চলে যাব।
তবে বিক্রেতার দাবির সঙ্গে একমত নন ক্রেতারা। এই হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে দাম ১০ -১২ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। হাটগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করুন