
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে সারাদেশে ৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ শতাধিক। পুলিশের একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৪ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের প্রত্যেক ক্যাম্পাসে আমাদের আন্দোলন চলবে। সন্ত্রাসীরা যতই হামলা করুক না কেনো আমাদের আন্দোলন চলবেই।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এদিন বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহরের আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম কলেজের এক শিক্ষার্থী ও একজন পথচারী নিহত হন।
সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, আরেকজন পথচারী। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা কলেজের অপর পাশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এক পথচারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই পথচারী তার নাম পরিচয় বলতে পারেননি।’
অজ্ঞাত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আকাশ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তাকে ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে পড়ে থাকতে দেখি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
মন্তব্য করুন