প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে, ০৭:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে ধর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথিত কটূক্তির জেরে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা চালায়। 

এরপর মাজারগুলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বেমজা মহসিন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত বুধবার সকালে এক যুবক ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন। 

এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা থানার সামনে জড়ো হয়ে মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন। দুপুরে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে, ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টকে কেন্দ্র আজ সকাল থেকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে অগ্নিসংযোগ করে এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। 

পরে মাজারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষ্যেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের সোপর্দ করা হয়। তবুও সকালে বিক্ষুব্ধ লোকজন মাজারে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান জানান, ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু যারা ঘটনার উসকানি দিয়ে মাজারে হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য করুন