
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বার, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন.নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে চারটি সিসিইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকেগতকাল ১৬ই সেপ্টন্বর মঙ্গলবার ফিতা কেটে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আবু হাসনাত মোঃ আহসান হাবিব।এখন থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য (ভাইটাল সাইন) নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে এখানে।
এবং জীবন-হুমকির সম্মুখীন রোগীরা (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) হৃদপিণ্ডে নির্দিষ্ট মাত্রায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হৃদস্পন্দন কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অন্যতম দায়িত্বরত ডাঃ হাসানুজ্জামান বলেন, সি সি ইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর সংযুক্ত হওয়ায় হৃদরোগ রুগিদের চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। সি সি ইউ মনিটরের মাধ্যমে রোগীর হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে জানান। আর ডিফিব্রিলেটরের মাধ্যমে জীবন-হুমকির সম্মুখীন রোগীদের হৃদপিণ্ডে নির্দিষ্ট মাত্রার বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হৃদস্পন্দন কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করা যাবে। এই সুবিধা এই প্রথম যুক্ত হয়েছে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে।
২০০৫ সালে যশোর সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিট। উদ্বোধন করা হয় ২০০৬ সালের ১২ই অক্টোবর। প্রথম থেকেই জনবল ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরু করাহয় এই সেবা কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে কিছু কিছু যন্ত্রপাতির বরাদ্দ দেওয়া হলেও হৃদ রোগের পরিপূর্ণ সেবা দিতে সক্ষম হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের চেষ্টায় এগিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠান টি। এখন যুক্ত হয়েছে সি সি ইউ মনিটর এবং ডিফিব্রিলেটর।যাহার ফলে হৃদরোগের চিকিৎসায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল যশোর করোনারি কেয়ার ইউনিট।
এসমে, উপস্থিত ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হিমাদ্রী শেখর, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ. গোলাম মাহফুজ রাব্বানী, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম, আর এম ও ডাঃ হাবিবা সিদ্দিকা ফোয়ারা সহ অন্যান্য চিকিৎসক, সেবিকা প্রমুখগন।
মন্তব্য করুন