বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ মার্চ, ২০২৪, ০২:২৩ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

মোংলায় বড় জাহাজ ভেড়াতে বড় উদ্যোগ

ছবি সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোংলা এখন অর্থনীতির অন্যতম লাইফ লাইন এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। 

মোংলা বন্দর চ্যানেল পশুর নদীর গভীরতা কম হওয়ায় বড় জাহাজ জেটিতে আসতে পারতো না। ফলে প্রায় এক দশক অববহৃতই ছিল দক্ষিণের জেলা বাগেরহাটের এই বন্দর। তবে গত ৫ বছরে আমূল পরিবর্তনে দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হয়ে উঠেছে মোংলা। 

আর মোংলা বন্দরের এই ভাগ্য বদলের নেপথ্যে একটি অত্যাধুনিক ড্রেজার। ঘণ্টায় ৬ হাজার ঘনমিটার বালি অপসারণে সক্ষম চায়নার ‘জিন জি ল্যাং ফাইভ’ ড্রেজার। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ঘনমিটারের বেশি বালি এ বন্দর চ্যানেল থেকে অপসারণ করেছে ড্রজারটি। 

পশুর নদীর নাব্য বাড়ায় মোংলা বন্দরে এখন ছোটো বড় সকল ধরনের জাহাজ ভিড়তে পারে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই বন্দর দিয়ে কনটেইনারযুক্ত কার্গোসহ প্রায় ৯৯ লাখ টন পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। এছাড়াও একই অর্থবছরে মোট ৮২৭টি জাহাজ পণ্য খালাস করে। 

জাপান থেকে মেট্রোরেল, চীন থেকে পদ্মা সেতু তৈরির সামগ্রী এবং রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের জন্য ভারী ভারী সব যন্ত্রপাতি দেশে এসেছে এই মোংলা বন্দর দিয়ে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া একাধিক ড্রেজিং প্রকল্পের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। 

২০১৮ সালে ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয় চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনকে।প্রকল্পের কাজ সম্প্রতি শেষ হওয়ায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয়দের সাথে প্রযুক্তি শেয়ার করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় ড্রেজার প্রদর্শন ইভেন্ট। 

এতে যোগ দেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।

অংশগ্রহণকারীদের ড্রেজার ট্যুর করানো হয়। এতে ড্রেজারের অপারেশন এবং বাণিজ্যিক জাহাজের উপযোগী মেরিন অ্যাক্সেস বজায় রাখতে ড্রেজিং-এর গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন