
প্রকাশিত: ২৭ জুন, ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে গভীর নলকূপ বিরোধে পানি সেচ বঞ্চিত আবাদি জমি রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সিধইল গ্রামের প্রায় ৬শত বিঘা জমি পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি সেচের জন্য কৃষকদের জিম্মি
করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও মৌসুমের যথাসময়ে আবাদি জমি সেচ বঞ্চিত রাখাসহ নানা অভিযোগে নলকূপের ব্যাপারে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে সম্প্রতি শতশত কৃষক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ ও আন্দোলন শুরু করলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি
হয়। বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবির ও থানার ওসি আজমগীর হোসাইন আজম সিধইল গ্রামে গিয়ে সমাধানের আশ্বাসে উত্তেজিত পরিস্থিতি শান্ত করলেও নলকূপের লাইসেন্স বাতিল ও সংশ্লিষ্ট রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার শর্ত দেয় কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির জানান, সিধইল নলকূপ পরিচালনাকারী রফিকুলকে শোকজ করা হয়েছে। উত্তেজিত পরিস্থিতি শান্ত করতে মাঠে গিয়ে আবাদি জমিগুলো এবং নলকূপ পরিদর্শন করে কৃষকদের
সঙ্গে কথা বলেছি। সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
কৃষকেরা অভিযোগ করেন, তাদেরকে জিম্মি করে প্রত্যেক মৌসুমে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিধইলের নলকূপ পরিচালনাকারী রফিকুল। কেউ প্রতিবাদ করলে পানি সেচ না দিয়ে কৃষি জমিগুলো পতিত রাখতে বাধ্য করছে। কৃষকদের বাঁচাতে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের
লাইসেন্স বাতিল করে সিধইল গ্রামের মসজিদ কমিটিকে নতুন করে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে দাবি জানানো হয়। অভিযোগের পরও তদন্ত ছাড়াই রফিকুলের পরিত্যক্ত অচল নলকূপসহ দুটির লাইসেন্স নবায়ন করে দেয় বিএডিসি (সওকা)।
ভূক্তভোগী ফরিদুল ইসলাম ফটিক, আব্দুল হান্নান, শামছুল প্রামানিক, আরমান আলী ও আক্কাস প্রামানিকসহ অর্ধশতাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গভীর নলকূপে পানির জন্য জিম্মিদশা থেকে আমরা মুক্তি চাই। সিধইল মাঠে একযুগপূর্বে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে ওই গ্রামের ইসলাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম। বিএডিসি (সওকা) থেকে লাইসেন্স নিয়ে একটি নলকূপ পরিচালনা করলেও আরেকটি নলকূপে একযুগেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সিধইল গ্রামের দুটি নলকূপ এরিয়ায় প্রায় ৬শত বিঘা আবাদি জমি রয়েছে। একটি মাত্র সচল নলকূপ থেকে যথাসময়ে জমিতে পানি সেচ জটিলতায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মৌসুমের সময় ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়।
এ ব্যাপারে সিধইল গ্রামের গভীর নলকূপ পরিচালনাকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। লাইসেন্স নিয়ে নলকূপ চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন