
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া (কলা বাগান) ঝর্ণার উপর ওয়াল নির্মাণের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রাকৃতিক ঘাগড়া ঝর্ণার উপর ওয়াল নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,সম্প্রতি ওই এলাকার জহিরুল হকের ছেলে জাবেদ জোরপূর্বক ও আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে রাতারাতি ঝর্ণার মধ্যে ওয়াল নির্মাণ করছে।
পরিবেশবাদী এম.জিসান বখতিয়ার বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পর্যটন শিল্পের সুন্দর্য নষ্ট করার কারও অধিকার নাই। ঘাগড়া কলা বাগান এই ঝর্ণাটি বহু দিনের পুরাতন একটি পর্যটন স্পট এটাকে দখল করতে সেখানে ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। সত্যি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, অনেক পুরাতন ঘাগড়া (কলা বাগান)ঝর্ণার উপর যে,ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে তা সত্যি দুঃখজনক। ঘাগড়া (কলা বাগান) ঝর্ণাটি দেখার জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও স্থানীয় লোকজন বর্ষা মৌসমে প্রচুর ভীড় জমায়। সরকারি বেসকারি উদ্যোগ নিলে
ঝর্ণাটি পর্যটন স্পট হিসেবে অর্থনৈতিক উপার্জন করাও সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। ঝর্ণার আশ-পাশে বেদখল হওয়ার কারনে দৃষ্টি নন্দন হারিয়ে ফেলছে ঝর্ণাটির। ঘাগড়া কলা বাগানের স্থানীয় তালেব আলী,আয়েশা, জাফর, এমরান ও রিনা জানান, ঝর্ণার মধ্যে
জোরপূর্বক ওয়াল নির্মাণকারী স্থানীয় জাবেদ কারও কথা শুনে না। গায়ের জোরে প্রভাবশালী জাবেদ সীমানা প্রচীর নামে যে,ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে তা ঝুকিপূর্ণ ও অনিরাপদ এই ওয়াল নির্মাণ করা হলে বেশ কিছু পরিবারের ক্ষতি সাধিত হবে। বর্ষা মৌসমে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হলে
এই ওয়াল পানির স্রোত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নিচের বসতবাড়ি তলিয়ে বা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই ঝর্ণাটিকে বাঁচাতে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পরিবেশবাদী সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, কিছু দিন আগে এই জায়গায় ঝর্ণার উপর জাবেদ নামের একজন ওয়াল নির্মাণ করতে গিয়েছিল। তখন আমি ওয়াল নির্মাণ কাজে বাঁধা দেই। একটু পিছনে গিয়ে ওয়াল নির্মান কাজ করতে বলেছিলাম।
আমার জানা মতে, যেখানে ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা তাদের রেকর্ডীয় জায়গা। বর্ষা মৌসমে ঝর্ণার ঢলে তাদের জায়গার মাটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ওয়াল নির্মাণ করছে তারা। যেহেতু ওয়াল নির্মাণে ফের অভিযোগ উঠেছে তাই আমি আবার সরেজমিনে গিয়ে দেখবো।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী মুঠো ফোনে বলেন, ঘাগড়া কলা বাগান ঝর্ণার বিষয়টি আমার নলেজে আছে। সেখানে নাকি কে বা কাহারা ঝর্ণার উপর ওয়াল নির্মাণ করছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমি সময় করে
সরেজমিনে দেখতে যাব।
মন্তব্য করুন