প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বার, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পশ্চিমাদের রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: যেকোনো আগ্রাসনের 'চূড়ান্ত জবাব' দেওয়া হবে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তার জবাব কঠোর হবে। তিনি শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে এই হুঁশিয়ারি দেন।

লাভরভ বলেন, ‘রাশিয়ার আকাশসীমায় উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভয়াবহ হবে।’ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, জার্মানি যুদ্ধের ভঙ্গিমায় কথাবার্তা বলছে।

ইউক্রেনে চলমান রুশ যুদ্ধের মধ্যে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এস্তোনিয়া জানিয়েছে, মস্কো তাদের আকাশসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। পোল্যান্ডের আকাশসীমায় ন্যাটোর যুদ্ধবিমান রাশিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

লাভরভ বলেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর। বিশেষ করে যারা ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য বলছেন, তারা এ কথা জেনে রাখুন।’


পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো মাঝে মাঝে রাশিয়ার ড্রোন বা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশগুলো রাশিয়াকে শীতল যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। এই উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে।

লাভরভ জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া কখনো ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ন্যাটো দেশগুলোতে ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি এবং ভবিষ্যতেও এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করতে সমর্থন জানিয়েছেন। এর আগে তিনি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে ‘কাগজের বাঘ’ বলে উপহাস করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ আরও বলেন, ‘যদি আমাদের আকাশসীমায় কোনো উড়ন্ত বস্তু ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হয়, সেটি সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার বড় লঙ্ঘন হবে। যারা এ ধরনের চেষ্টা করবে, তারা পস্তাবে।’

তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্সকে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের জন্য বিশেষভাবে সমালোচনা করেন। ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু নেতার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তবে লাভরভ স্পষ্ট করেন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদী। আগামী কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, যার লক্ষ্য দূতাবাস কার্যক্রম উন্নত করা। গত এক দশকে কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধের কারণে কার্যক্রম সীমিত হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার লাভরভ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন।

মন্তব্য করুন