
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ছবি দেখলে হয়তো প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে কোন শিল্পী তার নিপুন হাতের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছে এই সৌন্দর্য। প্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্য যে এতোটা ঐশ্বর্য ছড়িয়ে দিতে পারে তা না দেখলে যেন বিশ্বাসই হবে না। সবুজ ধানক্ষেতের বুক চিরে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রাস্তা দু’ধারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে সারি সারি নারিকেল গাছ।
না, এত সৌন্দর্যময় দৃশ্য কোন শিল্পির আঁকা ছবি নয়, এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল ঝিনাইদহে অবস্থিত। চোখ জুড়ানো এই দৃশ্যের সাক্ষী হতে দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে।
কেউ কেউ বলে প্যারিস রোড আবার কেউ বলেন নারিকেল জিঞ্জিরা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকায় যাওয়ার রাস্তা এটি। যেদিকেই চোখ যায় শুধু অবারিত ধান ক্ষেতের সমুদ্র দেখা যায়।মাঝ দিয়ে বয়ে চলার রাস্তার দুই পাশে দৃশ্যমান শত শত নারিকেল গাছ। চলতি পথে যে কারো চোখ আটকিয়ে যাবে এই অপরুপ সৌন্দর্যে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে যশোর রোডে ভ্যান, রিক্সা অথবা ইজিবাইক যোগে ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে নয়নাভিরাম এই জায়গাটি।
স্থানীয়রা বলেন, দু’কিলোমিটার দীর্ঘ প্যারিস রোডটি এখন কোলাহলমুক্ত একটি ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে উঠছে, শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে অনেকেই এখানে আসে প্রশান্তি নিতে।
কথা হয় দূর দূরান্ত থেকে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের সাথে, তারা জানান এতদিন শুধু ভিডিওতেই এর সৌন্দর্য দেখেছি আজ এখানে এসে স্বচোখে দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিন জানান, যেহেতু আমার ওয়ার্ডে পড়েছে রাস্তাটি তাই এটার দেখভালের দায়িত্বও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তটিতে আরও নারিকেল গাছ ও তালবীজ রোপণ করা হয়েছে। যা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। এতে সৌন্দর্য আরও বাড়বে।
তিনি আরও জানান, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মো. আলাউদ্দীন ১৯৯৩ সালে নলডাঙ্গা সড়কে ২৫০০ নারিকেল গাছ রোপণ করেন। পরিচর্চা ও যত্নের পর মাত্র ৭০০ নারিকেল গাছ এখন পর্যন্ত বেঁচে আছে।
মন্তব্য করুন