
প্রকাশিত: ৩ ঘন্টা আগে, ০৩:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আনোয়ার হোসেন যশোর:
ভারত ও পাকিস্তান মধ্যে চলমান সংঘাতের কোনও প্রভাব পড়েনি বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরে। আমদানি-রফতানির পাশাপাশি পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে বিএসএফ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সীমান্তে সন্দেহজনক লোকজনকে তল্লাশি করছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার (০৭ই মে ) সকাল সাড়ে ৬টায় যথারীতি দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত সকাল ৯টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে অন্য দিনের মতো আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে বেল ১টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ পাসপোর্ট ধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত প্রায় ২৩০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হয়েছে।
ভারত থেকে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, পেট্রাপোল বিএসএফ নজর দারি বাড়িয়েছে। ভারতে আশা ও যাওয়ার পথে যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশির পাশাপাশি সন্দে হ জনক লোকজনের দেহ তল্লাশি করছে বিএসএফ।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২০০ যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে।
তিনি বলেন, শনিবার (৩ মে) থেকে শুধু পচনশীল পণ্য ছাড়া আর কিছু রফতানির অনলাইন হচ্ছে না। ট্যাবের মাধ্যমে কোনও রকমে তা করা হচ্ছে।
বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কাস্টমসে লিংক সার্ভিস (অনলাইন সিস্টেম) কাজ না করায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি ও রফতানি বিঘ্নিত হচ্ছে। গত ৩রা মে ১৫০ ট্রাক ৪ঠা মে ৩৪ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় ৫ই মে ৩৩২ ট্রাক ও ৬ই মে ৪৩১ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে।
অপরদিকে বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে ৩রা মে থেকে ৬ই মে পর্যন্ত চার দিনে ভারতে রফতানি হয়েছে ৫৯৬ ট্রাক পণ্য মালা মাল।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফঃ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেনএখন, পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের সার্ভারে সমস্যার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। ফলে গত ২৮ এপ্রিল থেকে পেট্রাপোলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কমে গিয়েছে। এতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ফলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ কে জিমেলএ মেইল করে সমস্যার সমাধানের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন,গতকাল বুধবার (৭ই মে) সকাল ৯টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত প্রায় ২৩০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হয়েছে। তবে পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট লিংক না থাকায় তারা অনলাইন সিস্টেমে কাজ করতে পারছে না। এই অনলাইনের বিকল্প হিসেবে ট্যাবে ওয়াইফাই কানেকশন করে নামমাত্র কার্যক্রম চালু রেখেছে পেট্রাপোল কাস্টমস। এখন যে পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বেনাপোল আসছে সেগুলো আগের অনলাইনে এন্ট্রি করা পণ্য। বর্তমানে অনলাইনে যত সামান্য কয়েক টি আমদানি পণ্য এন্ট্রি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন