প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

 

রংপুর প্রতিনিধিঃ

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা শহরের শহিদ মিনারের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ বাজারে দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টিনের ব্যবসা করছেন জাহিদুল ইসলাম। গত মাসে হঠাৎ জাহিদুল ইসলামকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন দোকান মালিক ইতিয়াক বাবু। 

২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও জাহিদুল ইসলাম দোকানের জামানত বাবদ দেওয়া ৩৫ লাখ টাকা ফেরতের শর্তে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু দোকান মালিক জামানতের ওই ৩৫ লাখ টাকা দিতে অসম্মতি এবং দোকান নিজে না ছেড়ে দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। 

এরই জের ধরে ঘণ্টাব্যাপী চলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

তারা হলেন—কাঁচা বাড়ির ময়নাল হোসেন (২৫), পৌর শহরের পাঠানপাড়া গ্রামের মোন্নাফ হোসেন (৫০), কাঁচাবাড়ি শাহাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫৫), বৈরামপুর গ্রামের মোক্তারুল ইসলাম (৫২) ও রাজরামপুর গ্রামের লাভলু মিয়া (৫০)। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রশান্ত রায় বলেন, বদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঁচজনেই এসেছিলেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের পর বিএনপির ওই দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু। 

 

মন্তব্য করুন