প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে, ১২:০২ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

 

সদরুল আইনঃ

ময়মনসিংহ নগরের টাউন হল এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

 বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে নির্মাণাধীন স্থাপনা ও পুরোনো ভবনের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল প্রথমে নির্মাণাধীন ইটের দেওয়াল ভেঙে ফেলে। 

এরপর তারা পুরোনো ভবনের কক্ষগুলোতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা জি.কে ওমর, আব্দুল আলীম এবং সংগঠনের আহ্বায়ক আ জ ম ওয়ালিউল্লাহ ওলি।

হামলার কারণ হিসেবে জানা যায়, সম্প্রতি ‘কুটুম বাড়ি’ নামে একটি রেস্তোরাঁর জন্য রওশন এরশাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১২ বছরের চুক্তিতে ওই বাড়ি ভাড়া নেন বজলুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। 

এরপর সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনার নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গত ২৩ এপ্রিল মানববন্ধন করে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। 

এ সময় তারা ওই স্থানটিকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান। কিন্তু দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় তারা চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে রওশন এরশাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর তাঁর বাড়িটি আমরা ‘দালাল মহল’ হিসেবে চিহ্নিত করি। এখানে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

সংগঠনের মহানগর শাখার সিনিয়র সদস্যসচিব ফুয়াদ খান বলেন, আমি ভাঙচুরের সময় অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলাম। তবে জনতার ক্ষোভে আমাদের কিছু কর্মী সেখানে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি।

হামলার বিষয়ে ‘কুটুম বাড়ি’ রেস্তোরাঁর মালিক বজলুর রহমানের শ্যালক আহসানুল করীম বলেন, রওশন এরশাদের বাড়ি হওয়ায় দালাল মহল বলে ভাঙচুর করা হয়েছে। শ্রমিকদের যন্ত্রপাতিও নিয়ে গেছে তারা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বৈষম্যবিরোধীরা ভবনটিকে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত করে হামলা চালিয়েছে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র-জনতার মাঝে বাড়িটি ঘিরে ক্ষোভ রয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ ঠিক হবে না। 

স্মারকলিপি পাওয়ার পরও বিষয়টি হয়তো ব্যস্ততার কারণে উপেক্ষিত হয়েছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন