
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোঃ একরামুল হক, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
হাটহাজারী উপজেলায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও থামছে না টপ সয়েল কাটা। রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে, যা কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
এই দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চারিয়া ডায়মন্ড ব্রিকফিল্ডের সামনে একটি পাহাড় কে বা কারা সম্পুর্ন কেটে নিয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের বেলায় প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও রাতে বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটা ও পরিবহন অব্যাহত রয়েছে। ভয়ংকর বিষয় হলো, অভিযানের খবর আগেভাগেই জেনে যায় মাটিখেকোরা। অভিযোগ রয়েছে, রাতের আঁধারে প্রশাসনের কিছু অসাধু সদস্য পাহারা দিয়ে এসব অবৈধ কার্যক্রম চালাতে সহায়তা করছে।
গ্রামবাসীরা জানান, গভীর রাতে একের পর এক ড্রাম ট্রাকের শব্দে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। শান্ত পরিবেশ রাতভর ভারী যানবাহনের শব্দে কেঁপে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
পরিবেশ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু অভিযান নয়, মাটি কাটার সরঞ্জাম—এক্সকাভেটর, লোডার ও ড্রাম ট্রাক—জব্দ করতে হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি এবং অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাতের বেলায় এ কার্যক্রম বন্ধে আরও কড়া মনিটরিং চালানো হবে। প্রয়োজনে মাটি কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হবে।”
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। সবাইকে একসঙ্গে পরিবেশ রক্ষায়এগিয়ে আসা আমাদের সবার দায়িত্ব—অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ হোক, কৃষিজমি ও প্রকৃতি রক্ষা পাক!
মন্তব্য করুন