
প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে, ০৪:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে রংপুরের মিঠাপুকুরে এখন সাজ সাজ রব। সারাদেশের ন্যায় সার্বজনীন দেবী দূর্গার আগমন উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি পর্ব।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরসহ মিঠাপুকুরের মালাকরেরা এখন মন্ডপে মন্ডপে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তাদের ব্যস্ততা বাড়ছে। কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। উপজেলা কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দির ও উপজেলা আদিদেব মন্দির ছাড়াও গ্রামগঞ্জে ইতি মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রতিমা ও পূজা মন্ডপ তৈরির কাজ । স্থানীয় পূজামন্ডপ গুলোতে মেরামতসহ রঙের কাজ চলছে। প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কোথাও কোথাও প্রতিমায় গায়ে একাধিকবার মাটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। ফলে মালাকরদের এখন আর দম ফেলার সময় নেই। উপজেলার কৃষ্ণপুর বকুল তলা গ্রামের রনজিৎ মালাকর জানান, উপজেলার কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দিরের মালাকর তপু,সোহাগ,পল্লব,ভুপেন,
সুজন,রবি, আদিদেব মন্দিরের শ্রী সস্তোষ, চিথলী পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়া মন্দিরের মালাকরসহ আরও কয়েক জন প্রতিমা তৈরীতে বিশেষ পারর্দশী মালাকরদের সাথে প্রতিমা তৈরি নিয়ে এই প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তারা এবার শারদীয় দূর্গাপূজায় প্রতিমা তৈরিতে খরচ বৃদ্ধির কথা জানান। রনজিৎ মালাকর জানায়, মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাধির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মূর্তি তৈরিতে এখন অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে প্রকার ভেদে মূর্তি প্রতি ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা মজুরী নিয়ে থাকে। তাছাড়াও এখন প্রতিমার পোশাক পরিছদ যেমন জর্জেটের শাড়ী, হরেক রকমের পুতি, চুমকি ও চুড়ি,জরি কাজের লেন্স, ডাইমন্ড পুতি, গোল্ড চুমকি, সিটি গোল্ডের গহনা এ ধরনের সাজসাজ্জা কিনে আনতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লেগে যায় যা। প্রতিমা তৈরী করতে খোঁড়, মাটি আর রং দিয়ে তৈরী হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র সরকার জানান,রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ১‘শ ২৭ টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু পুজা শুরু হওয়ার আগে ২ থেকে ৩ টি মন্দির বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন