প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট, ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

সরকার কি আরও নৈরাজ্যের পথে দেশকে ঠেলে দিতে চায়, প্রশ্ন আনু মুহাম্মদের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকার কি আরও নৈরাজ্যের পথে দেশকে ঠেলে দিতে চায়—এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

রোববার ( ৩১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাস করছে, কারা মিথ্যা মামলা হামলা করে আটক বাণিজ্য করছে, কারা ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ বিভিন্ন শিল্প কর্ম ভাঙছে, পার্ক-মাজার ও দরবারে হামলা করছে, কারা পূর্বঘোষিত আলোচনা সভায় হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের জখম করছে, কারা নূরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছে, কারা দখল চাঁদাবাজি করছে, কারা ক্রমাগত হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।

কারা সহিংসতা-মব সন্ত্রাসের উস্কানি দিচ্ছে, কারা বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর জবরদখল নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের চেনা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সরকারের জন্য এই কালে খুবই সহজ। এর অনেকগুলোরই ভিডিও আছে। কিন্তু সরকারের কার্যকর ভূমিকা নাই।’

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘নুরের ওপর হামলা এবং তাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, নৈরাজ্য এগুলোর কোনোটাই স্বতঃস্ফূর্ত মনে হচ্ছে না। সরকার থেকে প্রতিবাদ এসেছে বেশ দ্রুত। কিন্তু আসল অপরাধীদের বিচার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?’

তিনি বলেন, ‘গত সরকারের সময় ‘জিরো টলারেন্স’ শব্দ দু’টি বেশ চালু হয়েছিল। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই শব্দ দুটি যত ব্যবহার করা হয়েছে ততই সেগুলো ক্রমাগত বেড়েছে, কারণ কোনো কাজ করা হয়নি। 

এই সরকারও গত কিছুদিন ধরে ‘জিরো টলারেন্স’ শব্দদুটি ব্যবহার করছে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ফলাফল দেখা যাচ্ছে একই। সরকার কি আরও নৈরাজ্যের পথে দেশকে ঠেলে দিতে চায়?’

 

মন্তব্য করুন