প্রকাশিত: ৯ ঘন্টা আগে, ০৯:৫২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: উদ্ধার তৎপরতায় ‘অনভিপ্রেত ঘটনায়’ সেনাবাহিনীর বিবৃতি

 

সিনিয়র প্রতিবেদকঃ

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর উদ্ধার কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ঘটনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিশুসহ একাধিক নিরীহ নাগরিক হতাহত হয়েছেন। 

দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটবর্তী ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়।

তবে উদ্ধার কাজ চলাকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার অতিরিক্ত ভিড় একাধিকবার ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। মাইলস্টোন স্কুলের স্বেচ্ছাসেবক ও সেনাসদস্যদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বহু মানুষ এলাকা ত্যাগ না করায় আহতদের সরিয়ে নেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সেনাসদস্যরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। তবে উল্লেখ্য, উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিকেলের দিকে, বারবার অনুরোধের পরও কিছু উৎসুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধার কার্যক্রমে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ সময় উৎসুক জনতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদ হয়, যা একপর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দেয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনায় একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে যেসব পক্ষ দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বরাবরই জনগণের পাশে থেকে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য করুন