প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে, ১১:০৯ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ডাকসুতে দুটি হল সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন রেহেনা ও লিমা

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হল সংসদের বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন দুই ছাত্রী।

 তাদের একজন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রেহেনা আক্তার, অন্যজন শামসুন নাহার হলের লামিয়া আক্তার (লিমা)।

রেহেনা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং বর্তমানে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী ফুটবল দলের সদস্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে রেহেনা বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার পরিচিতি থাকায় বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।’

লামিয়া আক্তার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী। তিনি বাংলা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে লামিয়া আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাননি। 

তবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘একটি নির্দিষ্ট পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকা কাকতালীয়। আমরা কারও সঙ্গে কোনো সমঝোতা করিনি। সব পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভালো হতো।’

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ২১ আগস্ট প্রকাশ করেছে ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন। দেখা গেছে, দুটি হলে বহিরঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে একাধিক মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি।

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, স্বতন্ত্রসহ ১০টির মতো প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবারের ডাকসু নির্বাচনে। কিন্তু কোনো ছাত্রসংগঠনই সব হল সংসদের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। 

১৮টি হলের মধ্যে ছাত্রদল সর্বোচ্চ ১৪টিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছে। তবে প্যানেল ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন হল সংসদে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রাথমিক যাচাই–বাছাই শেষে ১ হাজার ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ কেন্দ্রীয় ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কয়েক শ প্রার্থী। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ২৬ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে।

এবার ডাকসুতে নতুন যুক্ত হওয়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সানজিদা আহমেদ (তন্বি)। 

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত হওয়ায় তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। তার আহত হওয়ার ছবিটি গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম সাড়া জাগানো ছবি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ–সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদসহ অন্তত পাঁচটি প্যানেল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তবে অন্য কয়েকটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও এ পদে লড়ছেন। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী এই পদে সানজিদাসহ ১১ জন প্রার্থী আছেন।

সানজিদা বলেন, ‘আমি লড়াই করেই জিততে চাই। নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছি। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হলে প্রচারে নামব। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।’

 

মন্তব্য করুন